নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ১৭ জুন ইভটিজিংয়ের ঘটনা কেন্দ্র করে নিহত আবছার কামাল প্রকাশ কালাপুতুর হত্যার ঘটনায় খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনের কোনো ধরণের সম্পক্ততা নেই। তাঁর নিজ দলের নির্বাচনী ও রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কালাপুতু হত্যার সাথে ফাঁসিয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছেন খুরশকুল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মেম্বাররা বলেন, খুরুশ্কুলের তেতৈয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনকে আটক করে তার উপর জুলুম করা হয়েছে। কেননা ওই হত্যার সাথে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। বরং তিনি ওই ঘটনার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘটিত মারামারি নিবৃত্ত করে আরো বড় ধরণের দুর্ঘটনা লাঘব করেছেন।

তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আবছার প্রকাশ কালাপুতু হামলা শিকার হয়ে যায়। চেয়ারম্যান গিয়ে দু’পক্ষকে নিবৃত্ত করে তার গাড়িতে করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আহত কালাপুতুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই গাড়িতে কালাপুতুর ভাই দিদারও ছিলো। হাসপাতালে এনে তিনি দ্রুততার সাথে চিকিৎসক দেখনোসহ তাকে বাঁচানো সব চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। নির্বাচনে নিজ দলের একটি প্রতিপক্ষ একটি চক্র ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনকে মামলায় আসামী করেছে। ওই মামলায় তাকে পুলিশ জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

মেম্বাররা আরো বলেন, বিরোধী ওই রাজনৈতিক ও নির্বাচনী চক্রটি চেয়ারম্যান জসিমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মূলত তারই অংশ হিসেবে এই হত্যার সাথে সম্পূর্ণ নির্দোষ চেয়ারম্যান জসিমকে জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি যদি ওই ঘটনায় জড়িত থাকতেন তাহলে তিনি অবশ্যই পালিয়ে যেতেন। কিন্তু নির্দোষ বলেই পালিয়ে যাননি। এটাই সত্য ঘটনা।

জসিম উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে খুরুশ্কুলে আইন-শৃঙ্খলাসহ সব সমস্যা তিনি অত্যন্ত সফলতার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নানা ধরণের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছেন। যা আগে কখনো কেউ পারেনি। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বসাধারণের জন্য সমানভাবে কাজ করেছেন। তাঁর সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরকৃত মামলা থেকে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোর্শেদ আলম কাজল। উপস্থিত ছিলেন, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু মোহাম্মদ জাহেদ উদ্দীন, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার এহতেশামুল হক জওযান, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ সোহেল, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: শফিউল আলম, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয় বর্দন দে, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোরশেদ আলম, ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাখন চন্দ্র দে, সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সাজেদা বেগম, ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সুফিয়া নূর ও ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বুলবুল আকতার।

সংবাদ সম্মেলনে একাত্ততা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু। এছাড়াও এলাকা মান্যগণ্যব্যক্তিবর্গসহ আরো অনেক উপস্থিত ছিলেন।